আয়,আয় তারুণ্য, আয়!
আয় অগ্নিগিরির লাভার মতো উদগীরিত হই—
দুঃখ-শোকের মাঝেও চির উজ্জীবিত রই!
দু’কূল ভাঙা ঝড়ের মতো নৃত্য তুলে পা’য়—
আয় তারুণ্য, আয়॥
তোর মুক্ত-স্বাধীন দু’হাতে যে শেকল পরাল-
স্বপ্ন-সজীব চোখের কোণে অশ্রু ঝরাল-
সেই অত্যাচারীর বুকের চাতাল
ভেঙে দে রে হিংস্ৰ-মাতাল
দৃপ্ত চরণ-ঘায়-
আয় তারুণ্য, আয়॥
আয়, বজ্র কঠোর আওয়াজ তুলি পাহাড় ছাপিয়ে
হাল জামানার ফেরাউনের প্রাসাদ কাঁপিয়ে!
এই শান্ত-শীতল ভূ-ভাগে যে আগুন ধরাল—
ভ্রাতৃ-প্রতীম সমাজধারায় হিংসা ছড়াল—
সেই স্বৈরাচারীর দে রে কবর
রক্তে নাচুক তপ্ত খবর,
প্রাণ যদিও যায়—
আয় তারুণ্য, আয়॥